মারা গেছেন খাওয়ার স্যালাইনের উদ্ভাবক বাংলাদেশের বন্ধু রিচার্ড ক্যাশ
আপলোড সময় :
২৫-১০-২০২৪ ০৭:৪৮:৩০ অপরাহ্ন
আপডেট সময় :
২৫-১০-২০২৪ ০৭:৪৮:৩০ অপরাহ্ন
রিচার্ড অ্যালান ক্যাশ
জনস্বাস্থ্য গবেষক ও খাওয়ার স্যালাইনের অন্যতম উদ্ভাবক বাংলাদেশের স্বাধীনতাযুদ্ধের বন্ধু রিচার্ড অ্যালান ক্যাশ (৮৩) মারা গেছেন।
মঙ্গলবার (২২ অক্টোবর) যুক্তরাষ্ট্রের বোস্টন শহরে তিনি শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন। রিচার্ড ক্যাশ জন্মসূত্রে যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিক হলেও তিনি বাংলাদেশকে তার দ্বিতীয় বাড়ি মনে করতেন।
রিচার্ড ক্যাশ যুক্তরাষ্ট্রের হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের টি এইচ চ্যান স্কুল অব পাবলিক হেলথের শিক্ষক। তিনি ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে বিদেশে জনমত তৈরি, অর্থ সংগ্রহ ও পরে স্বাধীন দেশ হিসেবে বাংলাদেশের জন্য যুক্তরাষ্ট্রের স্বীকৃতি আদায়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন।
রিচার্ড ক্যাশ ১৯৪১ সালের ৯ জুন জন্মগ্রহণ করেন। জন্মসূত্রে যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিক হলেও তিনি বাংলাদেশকে তার দ্বিতীয় বাড়ি (সেকেন্ড হোম) বলে মনে করতেন। তিনি ছিলেন বাংলাদেশের অকৃত্রিম বন্ধু এবং সুদীর্ঘ সময়ের সহযাত্রী। বাংলাদেশের জনস্বাস্থ্যক্ষেত্রে বিস্তৃত গবেষণা ও প্রভূত অর্জনের পেছনে তার অসামান্য অবদান রয়েছে।
৭০-এর দশকে প্রাণঘাতী ডায়রিয়া নিরাময়ে সহ–গবেষক হিসেবে তিনি খাওয়ার স্যালাইন ফর্মুলার চূড়ান্ত রূপ দেন। তার এই যুগান্তকারী উদ্ভাবন ডায়রিয়া থেকে বাংলাদেশসহ বিশ্বের লাখ লাখ মানুষের জীবন রক্ষায় সহায়ক হয়।
রিচার্ড ক্যাশ ১৯৬৭ সালে যুক্তরাষ্ট্রের একটি মেডিকেল স্কুল থেকে শিক্ষাজীবন শেষ করে চিকিৎসক হিসেবে ঢাকার কলেরা রিসার্চ ল্যাবরেটরিতে (বর্তমান আইসিডিডিআরবি) যোগ দেন। এখানে তিনি অন্য গবেষকদের সঙ্গে মিলে ডায়রিয়া নিরাময়ে খাওয়ার স্যালাইনের কার্যকারিতা নিয়ে গবেষণা করে সফলতা অর্জন করেন।
রিচার্ড ক্যাশ ব্র্যাক ইউনিভার্সিটির জেমস পি. গ্র্যান্ট স্কুল অব পাবলিক হেলথ, দিল্লির পাবলিক হেলথ ফাউন্ডেশন অব ইন্ডিয়াসহ সারা বিশ্বে জনস্বাস্থ্যের বেশ কিছু প্রতিষ্ঠানে খ-কালীন শিক্ষক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। ২০০৬ সালে ব্র্যাক ইউএসএ অফিস প্রতিষ্ঠায় তাঁর উল্লেখযোগ্য ভূমিকা ছিল এবং বিগত দুই দশক ধরে তিনি ব্র্যাক ইউএসএ বোর্ডের সদস্য ছিলেন।
জনস্বাস্থ্যের ক্ষেত্রে যুগান্তকারী অবদানের জন্য রিচার্ড ক্যাশ অনেক আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি পেয়েছেন। এর মধ্যে রয়েছে ২০০৬ সালে “প্রিন্স মাহিদল পুরস্কার”, যেটি বিশ্বব্যাপী জনস্বাস্থ্য উদ্ভাবনের ক্ষেত্রে একটি শীর্ষস্থানীয় স্বীকৃতি।
বাংলা স্কুপ/এইচ বাশার/এসকে
প্রিন্ট করুন
কমেন্ট বক্স